রুম নম্বর 139 পঞ্চম পর্ব » বাংলা ভূতের গল্প » Bangla Bhuter Golpo » Ghost Stories in Bengali
Bangla Bhuter Golpo


সুব্রতর বিষয়কে আরো বর্ধিত করে আলমারীর দরজা খুলে বেরিয়ে এল সেলুকাস পিন্টো। নাকি শশাঙ্ক দাস? সুব্রতর মনে হল সেলুকাস যেন এক সুসজ্জিত নরকের প্রহরী। সে চেঁচিয়ে উঠলো- কী চাইছো তুমি? তুমি কি জানো? এই হোটেলে যে কার্যকলাপ তোমরা চালাচ্ছ সেটা এক্সপ্লোর হলে কি অবস্থা হবে তোমাদের? সেলুকাস অবিচলিতভাবে তার দিকে এগিয়ে এলো- সেটা তুমিও চাইবে না। এখানে যেটা হয় সেটা হার্মলেস ভাইস। Sera Bhuter Golpo কখনো কখনো এই সমাজে নিসেসারি ইভলদের দরকার হয়ে পড়ে সুব্রত। আর আমরাও ঠিক সেটাই করছি। ইটস অল ইনেভিটেবল। সৃষ্টিকর্তার লীলা। একটু ভাবো সুব্রত। নিজের জীবনের ফেলে আসা পাতাগুলো আরেকবার পড়ো। বুঝতে পারবে যে তোমার কঠিন সময়ে আমরাই তোমার সাথে ছিলাম। আর তুমিও আমাদের মতোই কাউকে চেয়েছিলে। সুব্রত অবাক হয়ে তাকায় সেলুকাসের দিকে- কি বলতে চাইছো পরিষ্কার করে বল। সেলুকাস কালো টাই টা একবার বুলিয়ে চুরুট চাইলো তার কাছে। তারপর সেটা ধরিয়ে শুরু করল তার কথা। যে কথার কেন্দ্রে সুব্রতই আছে। কিন্তু তবুও তার অজানা সে কথা। Bangla Bhuter Golpo


সেটা আজ থেকে তিন বছর আগেকার কথা। প্রাণের চেয়ে প্রিয় কন্যার মৃত্যুতে সুব্রত খুবই ভেঙে পড়েছিল সেই সময়। তীব্র মানসিক অবসাদ ঘিরে ধরে তাকে। রাতের পর রাত চোখে ঘুম আসে না তার। চোখ বন্ধ করলেই নিরুর মিষ্টি কন্ঠে বাবা ডাক ভেসে আসে। সুব্রতর চোখের তলায় কালো দাগ বাড়তে থাকে। কর্মস্পৃহা ও ক্রমশ কমতে থাকে। সে বোঝে এভাবে সে নিজেও এক সময় শেষ হয়ে যাবে। স্ত্রী নীলিমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সে নতুন এক ভাড়া বাড়িতে ওঠে। তারপর শহরের এক নামি মনস্তত্ত্ববিদ এর সাথে যোগাযোগ করে। ডক্টর ইনা ফার্নান্দেজের সজাগ মন প্রথম দিনই বুঝে নেয় সুব্রত ইনসোমনিয়ার কারণ। তিনি বুঝে যান এই রোগের পেছনে থাকা সুব্রতর চাপা মনোকষ্ট। Bangla Bhuter Golpo এনা ফার্নান্দেজের সাথে কলকাতায় এক প্রাক্তন বিশপের খুব ভালো যোগাযোগ ছিল। তাদের গোপন ও যৌথ উদ্যোগে একটা বিশেষ সোসাইটি খোলা হয়েছিল যার নাম ছিল- এঞ্জেলস টিয়ার। এখানে মাছের কিছু বিশেষ দিনে সেই সব মানুষেরা একত্রিত হতেন যারা বিভিন্ন কারণে মানসিকভাবে পিরীত। সকলে পালা করে বিবৃত করতেন তাদের সমস্যা কষ্টের কথা। কান্নাগুলো তারা ভাগ করে নেয় ভালবাসার উষ্ণ আলিঙ্গনে। যন্ত্রনাকাতর বুকগুলো ভারমুক্ত হতে থাকে। তৈরি হয় এক নতুন বন্ধুত্ব ও মানবিক বন্ধন। এর ফলে অনেকেই ধীরে ধীরে অতীত ভুলে ফিরতে পেরেছেন স্বাভাবিক জীবনে। এনা সুব্রত কে উপদেশ দেয় সেখানে যাওয়ার।


এঞ্জেলস টিয়ার সোসাইটিতে প্রথম সন্ধ্যা টা খুব ভালো কাটে সুব্রতর। এখানে কেউ ক্যান্সারাক্রান্ত কেউ অন্য কোন কঠিন রোগে ভুগছে কেউ ডিভোর্সি কেউ সমাজের কোন সিস্টেম দ্বারা রাজনৈতিক যাঁতাকলে পিরিত বঞ্চিত কেউ সদ্য প্রেম বিচ্ছিন্ন টিনেজার কেউ সন্তান স্বামী বা স্ত্রী দ্বারা অত্যাচারিত আবার কেউ কেউ তার মতনই সন্তানহারা অভাগা। এখানেই তার পরিচয় হয় অসীমের সাথে। অসীম তার থেকে অনেকটাই বয়সে বড়। তারই মত কন্যা হারা এক পিতা। অসীমের একটি পা পঙ্গুত্ব প্রাপ্ত তাই সে ক্রাচের সাহায্যে চলাফেরা করে। সুব্রত তার মধ্যে এক দাদাকে খুজে পায়। নিজের ভেতরের সব দুঃখ তারা পরস্পরকে ঢেলে দেয় পরম ভরসায়। আলিঙ্গন করে একে অপরকে। তারপর বিদায় নেয় সেদিনের মত। রাতে খুব ভালো ঘুম হয় সুব্রতর। যেন এক যুগ পর তার চোখে নেমে আসে বহু রাতের জমে থাকা অনাগত নিদ্রাদেবী। Bangla Bhuter Golpo


অসীমের একটা নিজস্ব গান নাচের স্কুল আছে। সুব্রত কে সে আমন্ত্রণ জানায় সেখানে আসার জন্য। সুব্রত অসীমের কচিকাঁচা ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে খুঁজে পায় নতুন প্রাণ। প্রথম দিনই ওদের যুগ্ম কণ্ঠে গীত 'প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে' সুব্রতর মনে জাগিয়ে তোলে নতুন ভাবে বাঁচার ইচ্ছে। অসীম নিজেও দক্ষ গায়ক ও শিক্ষক। সুব্রত জানতে পারে তার নয়নের মনি নিরুকেও নীলিমা এখানে গান শেখাতে নিয়ে আসতো। আসলে অফিসের কাজের চাপে তার এই সব খুঁটিনাটি খোঁজ নেওয়া হয়ে উঠতো না। অসীম তাকে জানায় যে নির্জরার কণ্ঠে ছিল দুর্লভ মিষ্টতা। সুব্রতর চোখে জলে ভরে ওঠে। সে আরো একাত্ম হয় অসীমের সাথে। নিজেও সংগীতের অভ্যাস শুরু করে। ক্রমশ কেটে যেতে থাকে সুব্রতর অবসাদ। একদিন এঞ্জেলস টিয়ার সোসাইটির সন্ধ্যায় সুব্রত জিজ্ঞেস করে অসীমকে- তোমার মেয়ে কিভাবে মারা গেছিলো? অসীম মৃদু হাসে। সুব্রত স্পষ্টই বুঝতে পারে সেই হাসিতে এক অস্ফূট বেদনা লুকিয়ে আছে। 


অসীম বলে- এমএলএ মানিক সরকার কে চেন? মানিক সরকার কে না চেনার কোনো কারণ নেই। রাজনীতির জগতে আশ্চর্য উত্থান তার। রাজনীতির জগতে আশ্চর্য উত্থান তার। বিগত নির্বাচনের আগে মেদিনীপুরের এক রাজনৈতিক সংঘর্ষে পরিবার হারা হয় মানিক। তৎকালীন শাসকদলের এহেন হিংস্র প্রতিশোধস্পৃহা প্রবলভাবে সমালোচিত হয় সব মহলে। মানিক সরকারের পরিজন বলতে বেঁচে থাকে তার একমাত্র মেয়ে। তার ছোট মেয়েকে বুকে নিয়ে সুন্দর ফটোগ্রাফটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে সর্বত্র। পিতা-কন্যার ভালোবাসার যেন সিম্বল হয়ে পড়ে ছবিটি। মানুষের সহানুভূতির জোয়ারে ভেসে ভোটের টিকিট পায় মানিক। সুবক্তা মানিক সহজেই সেবার বিপুল মার্জিনে জয়লাভ করে। এখনো মানিক সরকারের ইমেজ অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন। সাধারণ মানুষ ভীষণ একাত্ম তার সাথে। এই জননেতার কথা হঠাৎ কেন উঠে আসলো অসীমের মুখে। সুব্রত ইতিবাচক ভঙ্গিতে মাথা নাড়ে হ্যাঁ চিনি। অসীম এরপর যেটা বলে তাতে বিস্মিত হয়ে পড়ে সে। অসীম কাকে বলে- আমার মেয়ে রিনার মৃত্যুর জন্য দায়ী ওই মানুষটাই। মানিকের মেয়েকে গান শেখাতে যেত রিনা। একদিন সেখান থেকে ফেরার পথে একটি নাম্বার বিহীন মারুতি তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। Vuter Golpo


হাসপাতালে দুদিন জমে মানুষের টানাটানির পর অবশেষে হার মানে রিনার প্রাণশক্তি। সুব্রত তাকে বলে এটাতো অ্যাক্সিডেন্ট অসীম। তোমার সরকারকেই দায়ী মনে হওয়ার কারণ কি? কারণ ওর নির্বিকার চোখ। রিনার মৃত্যুর পর ওকে দেখেছি আমি। ওর সেই নিষ্ঠুর চোখে লেগে থাকা পাপ আর কেউ না দেখতে পারলেও আমি পরিষ্কার বুঝতে পেরেছি। আর আমি এটা কোন আবেগ থেকে বলছি না সুব্রত। মানিক সরকার এক রহস্যময় শয়তান। আ সার্পেন্ট আন্ডার দা ফ্লাওয়ার। ওর অতীত জনসমক্ষে আসেনি কোনদিনও। বলে অসীম। ঠিক আছে। ব্যক্তিগত তদন্ত করে যত দূর করা সম্ভব আমি করব। কথা দিচ্ছি তোমাকে। অসীমের হাতে স্নেহের স্পর্শ রাখে সুব্রত। অসীম ও সুব্রতর কাঁধে হাত রাখে তুমিই ভরসা ভাই। তোমার কলমে তলোয়ারের চেয়েও ধার আছে। আমিতো এক পঙ্গু সৈন্য। Bangla Vuter Golpo


সুব্রত শুরু করে দেয় মানিক সরকার সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার কাজ। শুরুতেই তার লক্ষ্য হয় কয়েক বছর আগের ঘটে যাওয়া মেদিনীপুরের সেই রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনাটি। সরকারি মতে 24 জনের প্রাণহানি ঘটেছিল উক্ত হিংসায়। পূর্বতন শাসকদলের বিদায়ের পেছনে ওই ঘটনাটি ভোটবাক্সে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল। ওই ঘটনার সাথে যুক্ত প্রত্যেকটি মানুষের খোঁজ নেওয়া শুরু করে সুব্রত। এক সপ্তাহ অনেক ফাইল ঘেঁটে অবশেষে সুব্রত একটা সংযোগের সম্ভাবনা আবিষ্কার করে। লোকটার নাম রজত সাহা। বছর 27 28 এর সুদর্শন যুবক। পেশায় ফটোগ্রাফার। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সুব্রত বুঝতে পারে রজতের ওঠাবসা বিভিন্ন সুন্দরী মডেলদের সাথে। কিন্তু সেটা বর্তমানে। অতীতে সে ছিল মেদিনীপুরের এক অঞ্চলের স্থানীয় কন্ট্রাক্টর। সুযোগ সুবিধার লোভে তার স্থানীয় গুন্ডাদের সাথে ভালই যোগাযোগ ছিল। মূল কথাটা হল রজত ছিল মানিক সরকারের মতো উক্ত সংঘর্ষের জীবিতদের একজন। সুব্রতর ধারনা জন্মায় এই লোকটি তাকে অনেক তথ্য দিতে পারবে। Bangla Bhuter Golpo


পুলিশে কিছু বন্ধুবান্ধব ছিল সুব্রতর। তাদের ও রজতের ফ্লাটের প্রতিবেশীদের মারফত ও জানতে পারে রজত প্রতি মাসে দু একবার করে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যায়। ফটোগ্রাফির কাজে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে হতেই পারে। তবে শিলিগুড়ি যাওয়াটা তার একেবারে নিয়ম। সুব্রত ঠিক করে সে একবার রজতের পিছু ধাওয়া করবে শিলিগুড়ি পর্যন্ত।


অসীমকে সে জানায় এই কথা। অসীম সব কথা শুনে একটু কি যেন ভেবে নেয়। তারপর তাকে বলে- রজতের সাথে মানিক সরকারের একটা সংযোগ থাকতে পারে। যাই হোক সেটা আরো তদন্ত সাপেক্ষ। তুমি শিলিগুড়ি যাও। আমি একটু ভালো করে ওর সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্টগুলো খুটিয়ে দেখি। আমার ধারণা যদি ঠিক হয় তাহলে রজত নামক নেকড়েটি ভেড়ার আবরণ ওখানেই আবিষ্কৃত হবে। Bangla Vuter Golpo


সুব্রত শিলিগুড়ি রওনা দেওয়ার আগের দিন অসীম ওকে জরুরি তলব করে। ইটস সুপার আর্জেন্ট সুব্রত। যত তাড়াতাড়ি পারো চলে আসো। অসীমের ফোন পেয়ে হন্তদন্ত হয়ে সুব্রত চলে আসে ওর বাড়িতে। তারপর যা জানতে পারে তাতে হতভম্ব হয়ে যায় সুব্রত। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তিনটি মেয়ের ছবি দেখায় ওকে অসীম। Ghost Stories in Bengali তারপর ওর সামনে তুলে ধরে তিনটি নিউজ পেপার কাটিং। তিনটি খুব তুচ্ছ আকারে মাঝখানের পেজের কোনায় স্থান পাওয়া খবর। তিনটি খবরই একই প্রকারের- শিলিগুড়ি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় গত দু'বছরের বিভিন্ন সময়ে তিনজন পরিচয় হীন তরুনীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সুব্রত স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন করে বসে- এই তিনজন আর সোশ্যাল মিডিয়ার ওই 3 মডেল একই সেটা কিভাবে বলছো? অসীম তাকে বলে- কারণ আমি পার্সোনাল কিছু ইনভেস্টিগেশন করে জানতে পেরেছি যে ওই তিনজন ও মিসিং। এবং সময়টা মোটামুটি এক। আরো একটা ব্যাপার হলো এই তিনজনের ছবি আমি রজতের একাউন্টে কিন্তু পাইনি। সম্ভবত ডিলিট করে দিয়েছে বা আপলোড করে নি। এই ছবিগুলো আমি অন্য একটি ফ্যাশন সাইট থেকে পেয়েছি। আর সেখানেও এদের সম্পর্কে কিছু বলা নেই। তুমি এই তিনজনের ছবির ওয়াটারমার্ক টা লক্ষ্য করো। সুব্রত পরিষ্কার দেখলো আবছা করে সিলভার লেন্সেস লেখা আছে ছবিগুলির নিচের কোনায়। অসীম বলল এটা রজতের ই আগের ফটোগ্রাফির ক্যাপশন। Sera Bhuter Golpo অর্থাৎ এরা রজতের সাথে কাজ করেছে। বাট এত ভালো ফটো গুলো রজতের প্রোফাইলে নেই কেন? এর থেকে অনেক খাজা মডেলের ছবি ও রেখে দিয়েছে ওর প্রোফাইলে। যাইহোক দা পয়েন্ট ইস এরা এখন মিসিং। এন্ড শিলিগুড়ির সার্কেলে তিনজন ডেট। দুইয়ে দুইয়ে কি চার করা যায় না সুব্রত? যে এরাই ওই তিনজন ভিকটিম। কিন্তু কেন? এদের মেরে ফেলবে কেন? মোটিভ কি হতে পারে? সুব্রত বলল। সেই জন্যেই তো তোমার এই অভিযান। এখনো পর্যন্ত যা মনে হচ্ছে রজত ডেফিনেটলি কোন ক্রাইম রেকর্ড এর সাথে যুক্ত। এবং সেটার শেকর যথেষ্ট মজবুত ও বিস্তৃত। নইলে পুলিশের নজর এভাবে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। যাইহোক এটা মাথায় ঢুকিয়ে নাও- দ্যাট হি ইজ ডেঞ্জারাস। এই পর্যন্ত বলে অসীম একটা ছোট বাক্স এগিয়ে দিল তার দিকে। Bangla Bhuter Golpo তোমার সুরক্ষার জন্য বন্ধুর তরফ থেকে একটা ছোট উপহার। সুব্রত বাক্স খুলে দেখল একটা ছোট কোল্ড রিভলভার রাখা এতটাই ছোট যে খুব সহজেই হাতে লুকিয়ে ফেলা সম্ভব। আর তার পাশে একটা ছোট বোতলে কিছু পানীয়। এটা কোনদিন চালাই নি তবে দরকার অবশ্যই পড়তে পারে। কিন্তু এই বোতল টা কিসের জন্য? জিজ্ঞেস করে সুব্রত। অসীম হেসে জবাব দেয়- ওটা এঞ্জেলস টিয়ার সোসাইটির হোলি ওয়াটার। যদি কখনো বিপদে পড়ো ওটা পান করবে। ওটা তোমাকে লড়াইয়ের শক্তি দেবে। আর ওই ছোট যন্ত্রটির ব্যবহার খুব সহজ। লেট মি শো ইউ। অসীম সুব্রত কে যত্নসহকারে মারণাস্ত্রের চালনার কৌশল শিখিয়ে দেয়। আচ্ছা এই জিনিস পেলে কোথায়? সুব্রতর প্রশ্নে মুচকি হেসে অসীম বলে- কন্যার হত্যা এক অক্ষম পিতাকে দিয়েও কিনা করাতে পারে সুব্রত? তোমার প্রশ্ন অবান্তর। চোখ-কান খোলা রাখলে এসব তুমিও পেয়ে যাবে। আই উইস ইউ গুড লাক ব্রাদার। অসীমের সাথে করমর্দন ও আলিঙ্গন ছেড়ে সুব্রত বিদায় নেয়। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে এই রহস্যের কিনারা সে করেই ছাড়বে।